শিরোনাম:
সুনামগঞ্জে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত শতকোটি টাকার বালুমহাল: ইজারা নিয়ে সুনামগঞ্জে বিএনপির দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব, ডিবি তুলে নিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ সংবাদ প্রকাশের জেরে তাহিরপুরে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠ থেকে কেন্দ্রীয় সংগঠক—ইমনদ্দোজার নতুন রাজনৈতিক সূচনা নির্মাণাধীন সেতুর পাশে সিমেন্টবোঝাই ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল চালকের বাঁশখালীর আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত সুনামগঞ্জে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দাবিতে মানববন্ধন যাদুকাটায় বিআইডাব্লিউটি’র নামে শ্রমিকদের মারধর করে চাঁদাবাজি প্রতিবাদে মানববন্ধন সুনামগঞ্জে মসজিদে পড়তে আসা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম আটক সুনামগঞ্জ হেল্পলাইনের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হাওরের ফসল রক্ষায় স্থাপন করা সুইচ গেটঃ দুর্ভোগে ২ হাজার কৃষক পরিবার

সুনামগঞ্জে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিনঃ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেলের ব্যবস্থাপনায় ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক লেকচার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন ২০২৫) সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা সদরের নারায়ণতলা মুগাইপাড়া মিশনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।ওয়ার্কশপে স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লালন, ধারণ এবং উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা এবং সংস্কৃতি দ্রুত বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। তাই এগুলোকে সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ ধরনের উদ্যোগ অপরিহার্য।

সুনামগঞ্জ জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে খাসিয়া, গারো, হাজং এবং মণিপুরী সম্প্রদায় উল্লেখযোগ্য। এরা প্রত্যেকে নিজস্ব ভাষা, পোশাক, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা বহন করে আসছেন। ওয়ার্কশপে বক্তারা জানান, তাদের এই বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য রক্ষা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ আরও জোরদার করতে হবে।

ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক এস এম শামীম আকতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাদার ওয়াল্টার রোজারিও এবং ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিন্টু দিও।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী। রিসোর্স পার্সন হিসেবে লেকচার প্রদান করেন পল সাংমা।

ওয়ার্কশপে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ১৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ঐতিহ্যবাহী খুতুব পরিয়ে ‘রাজা’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। এটি ছিল গারো সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ সম্মাননা প্রথা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক এস এম শামীম আকতার বলেন,”ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, নৃত্য, গান এবং জীবনধারা আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অন্যতম অংশ। এই বৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে শিল্পকলা একাডেমি নিয়মিতভাবে এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ ধরনের ওয়ার্কশপ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই, তারা যেন তাদের শেকড়কে জানতে পারে এবং গর্বের সঙ্গে তা লালন করে।”

ওয়ার্কশপ শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ভাষা, গান, নৃত্য এবং ঐতিহ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানজুড়ে উপস্থিতদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।